আমাদের রক্তের রঙ লাল। মানুষের মতো বেশীর ভাগ প্রানীর রক্তের রঙ লাল। তবে প্রানীজগতে বিরল কিছু প্রানী আছে যাদের রক্তের রঙ ভিন্ন। এদের মধ্যে এন্টারটিক অক্টোপাস ও হর্সশু ক্রাব দুইটা প্রানী যাদের রক্তের রং নীল। রক্তে অক্সিজেনবাহী আয়রনঘটিত প্রোটিন হিমোগ্লোবিন থাকার কারনে রক্তের রঙ লাল হয়। হিমোগ্লোবিন এর বদলে তামাঘটিত প্রোটিন হিমোসায়ানিন থাকলে রক্তের রঙ হয় নীল। হিমোসায়ানিনের কাজও ফুসফুস থেকে দেহকোষে অক্সিজেন বহন করা।

হর্সশু ক্রাবের নীল রক্তের একটা বিশেষ গুন রয়েছে। যখন কোন ব্যাক্টেরিয়া বা রোগজীবানু এই রক্তের সংস্পর্শে আশে তখন তা খুব দ্রুত জমাট বেধে যায়। মেডিক্যাল সায়েন্সে ক্ষতিকর জীবানু নিয়ে গবেষনায় এই গুনটা খুবই মূল্যবান। অনেক নতুন ঔষধ পরীক্ষা করার জন্যে হর্সশু ক্রাব ব্যবহার করা হয়। এ জন্যে বিশেষ পদ্ধতিতে হর্সশু ক্রাব থেকে আংশিক নীল রক্ত সংগ্রহ করে তাদের আবার জীবিত ছেড়ে দেওয়া হয়। যেভাবে মানুষ থেকে রক্ত সংগ্রহ করা হয় অন্যকে দেওয়ার জন্যে।
হর্সশু ক্রাবের নীল রক্ত মূল্যবান একটি তরল পদার্থ। এর পিতি গ্যালনের (৩.৭৯ লিটার) মূল্য প্রায় ৫৩,২৫০ ডলার বা ৪৪ লক্ষ টাকা।
